বাবার স্বপ্ন ছিল মেয়ে ইঞ্জিনিয়ার হবে। মস্ত বড় ইঞ্জিনিয়ার। সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন খাদিজা খালিদ খুশবু। এক সেমিস্টার যেতে না যেতেই তার বাবা অসুখে পড়লেন । মাত্র একুশ দিনের মাথায় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। আকস্মিক এই পিতৃবিয়োগে খুশবুর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে।

চোখের পানি মুছতে মুছতে খুশবু বলেন, বাবা যে আমাদের মাথার ওপর কত বড় ছায়া হয়ে ছিলেন তা বুঝতে পারি বাবার মৃত্যুর পর। আমাদের পুরো পরিবার এলোমেলো হয়ে যায়। সবচেয়ে বিপদে পড়ি আমি। আমার পড়ালেখার খরচ চালাবে কে? ধরেই নিয়েছিলাম যে আমার পড়ালেখা আর হবে না।’আর তখনই জানতে পারি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের জন্যও রয়েছে বীমা পলিসি। সঙ্গে সঙ্গে আবেদন করি। অভিভাবক বীমার সহায়তা নিয়ে খুশবুর শিক্ষাজীবন এখন চলমান। বাবার স্বপ্ন পূরনের অঙ্গীকার নিয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি এখন খুশবুর জীবনে।

শিক্ষার্থী ইলমা আক্তার স্বর্ণা কিংবা বোরহানউদ্দিন, অভিভাবক হারিয়ে তাদের জীবন ও পতিত হয়েছিল অন্ধকারে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশানল ইউনিভার্সিটির অভিভাবক বীমা পলিসির মাধ্যমে আজ তারাও স্বপ্ন দেখছে সুন্দর আগামীর।

আজ ২০ মে ২০১৯ ইং, দিনটি তাদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারন আজ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ প্রগতী লাইফ ইন্সরেন্সের সহযোগীতায় তাদের তিনজনের হাতে অভিভাবক বীমা দাবি পরিশোধের চেক তুলে দেয়। টাকার অভাবে একজন শিক্ষার্থীও যেন অকালে ঝরে না যায় এ ব্যপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবসময় সচেষ্ট রয়েছে। শুধু বীমা পলিসি নয়, বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে তাদের পাশে থেকে একটি সুন্দর আগামী তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

উল্লেখ্য বাংলাদেশে একমাত্র ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিই শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের জন্য “অভিভাবক বীমা পলিসি” প্রবর্তন করেছে।