বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলে ‘৮তম আন্তর্জাতিক বিশ্ব অর্থনীতির পুনর্গঠন সম্মেলন’-এ প্রধান আলোচক হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। গত ৯-১০ জুলাই লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনটির সহআয়োজক একাডেমি অব বিজনেস অ্যান্ড রিটেইল ম্যানেজমেন্ট (এবিআরএম) ও জার্নাল অব বিজনেস অ্যান্ড রিটেইল ম্যানেজমেন্ট রিসার্চ। ড. মো. সবুর খান এই সম্মেলনে ‘বৈশ্বিক উদ্যোক্তাবৃত্তির দ্রুত উন্নয়ন ও উদ্ভাবন এবং বাংলাদেশের বিশেষ উদাহরণ’ শীর্ষক এক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসময় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন একাডেমি অব বিজনেস অ্যান্ড রিটেইল ম্যানেজমেন্ট (এবিআরএম)-এর নির্বাহী চেয়ার ড. পি পি দত্ত। সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের  সেন্টার ফর  ইনোভেটিভ লিডরিশীপ নেভিগেশন এর পরিচালক ও ইন্টারন্যাশনানাল জার্নাল অব হায়ার এডুকেশন ম্যানেজমেন্টএর এডিটর ইন-চীফ ড. মার্ক টি জোনস্ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খানকে ফেলোশীপ প্রদান করেন।

ড. মো. সবুর খান তাঁর প্রবন্ধে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের শেষ পর্যায় ‘ডিজিটাল বিপ্লব’ এর উপর জোর দিয়েছেন। তিনি উদীয়মান প্রযুক্তি যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিকস, ইন্টারনেট অব থিংকস (আইওটি), থ্রি ডি প্রিন্টিং, স্বনিয়ন্ত্রিত যানবাহন ইত্যাদিকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব হিসেবে বর্ণনা করেন। তথ্যপ্রযুক্তির এই সমন্বয়ভিত্তিক সৃজনশীলতা এবং উদ্যোক্তাবৃত্তি বাংলাদেশের জাতীয় প্রবৃদ্ধির অনুঘটকে পরিণত হয়েছে। এজন্য দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো উদ্যোক্তাবৃত্তির কর্মকৌশকে আরও শক্তিশালী করছে। সাম্প্রতিক সময়ে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্ভাবনকে তাদের প্রতিষ্ঠানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ব্যবহার করছে। আর নতুন নতুন উদ্ভাবনগুলোই তাদের প্রতিষ্ঠানে সাফল্য এনে দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ড. মো. সবুর খান বাংলাদেশের উদাহরল টানেন এবং কিছু সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ যেমন ‘বিকল্প বিনিয়োগ নীতিমালা-২০১৫’, এটুআই প্রকল্পের ‘ইনোভেশন ফান্ড’ এর মাধ্যমে ছোট ছোট উদ্যোগকে সহায়তা প্রদান,  উচ্চ পর্যায়ের উদ্যোক্তা প্রোগ্রাম, ইনোভেশন হাব ও বিজনেস ইনকিউবেটর প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদির উল্লেখ করেন।