ড্যাফোডিল বিশ্বিবিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম হলে আর্ট অব লিভিং কর্তৃক আয়োজিত উন্নয়নশীল মন শীর্ষক সেমিনারে মুহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম পঠিত বক্তব্য

নোবেলপ্রাপ্তির পরে ভিস্লাভা শিমবোরস্কাকে ডাকা হয়েছিল বক্তৃতা দিতে। ১৯৬৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। ভিস্লাভা শিমবোরস্কাকে ভাবছিলেন কীভাবে শুরু করবেন। তিনি বলছেন, লোকে বলে বক্তৃতার প্রথম বাক্য বলাই হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন। আমি সেই কাজটা অবশ্য সেরে ফেললাম। অন্তত প্রথম বাক্যটা তো বলা হলো। শিমরোরস্কার শুরুর স্টাইলটা এমন ছিল। এখন সকলের কাছে পরিস্কার কেন আমি শিমবোরস্কাকে দিয়ে শুরু করলাম।


আপনাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাবার পর থেকে মন নিয়ে আমার কথা বলা ঠিক কি না এই নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। এই দ্বিধার পেছনে কারণ দুটি : প্রথমত, মনস্তত্ত নিয়ে আমার বিশেষ পড়াশোনা নেই। অ্যাকাডেমিক ডিগ্রিও নেই। দ্বিতীয়ত, আজকের এই অনুষ্ঠানে আমার সঙ্গে অন্য যারা আমন্ত্রিত তারা সকলে মনস্তাত্তিক তাদের মধ্যে অনেকে মন নিয়ে কাজ করেন। প্রথম কারণাটা আপনাদের বলে কয়ে আমি পার পেলেও পেতে পারি। দ্বিতীয়টা আমার ভেতরে খানিকটা ভয়েরও উদ্রেক করেছে। মনস্তাত্তিকদের সামনে মন নিয়ে কথা বলা সহজ বিষয় নয়। এই ভাবনা থেকে লিখিত বক্তৃতার আইডিয়া মাথায় এলো। এতে হয়তো ভুল ত্রুট কিছুটা কমতে পারে।


মন নিয়ে কথা বলতে হবে এই ভাবনায় যখন আমার ভেতরে অস্থিরতা বাসা বাঁধছিল তখন সাক্ষাৎ পেলাম সিগমন্ড ফ্রয়েডের। একবার এক সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এই মুহূর্তে কী নিয়ে কাজ করছেন? উত্তরে সাংবাদিক মহোদয়কে তিনি যা বলেছিলেন সেসব কথা সুন্দরভাবে লেখক ও অনুবাদক শাহাদুজ্জামান ভাষান্তর করেছেন : ফ্রয়েড বলছেন, ‘সাধারণ মানুষ, যারা মনের বিচার-বিশ্লেষণ নিয়ে কাজ করতে চান তাদের পক্ষে একটি লেখা লিখছি। ডাক্তাররা লাইসেন্সপ্রাপ্ত ছাড়া অন্য কাউকে এই বিষয় নিয়ে কাজ করতে দিতে চান না। ডাক্তারদের স্বভাব এমনই। যেকোনো নতুন আবিস্কারদের প্রচন্ড বাধা দেবে। শেষে ওটার ওপরই একচেটিয়া দখল নিতে চাইবে।’

আপনারা নিশ্চয়ই এখন বুঝতে পারছেন, সিগমন্ড ফ্রয়েডের কাছ থেকে মনের বিচার-বিশ্লেষণ নিয়ে কথা বলার একটি বিশেষ সনদ আমরা পেয়ে গেছি। আদতে কথা হলো, মানুষের মনকে চিহ্নিত করা, এই মনের আকার-প্রকার খুঁজে বের করা সম্ভবত পৃথিবীর কঠিনতম কাজগুলোর মধ্যে একটি। মানুষের মন বোঝা শুধু কঠিন নয় বরং নিজের মন নিয়েও মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা হতে পারে। গানে গানে এই কঠিনের প্রকাশ সহজ হবে। মনকে আমার যত চাইরে বুঝাইতে/ মন আমার চায় রঙের ঘোড়া দৌড়াইতে/ পাগল মন মন রে/ মন কেন এত কথা বলে [..]।

কত কথা বলে মন
কি বলে মন? আমরা অনেক সময় মনের বিরুদ্ধাচারণ করি। মনের বিরুদ্ধে কাজ করি। মনের কথাকে আমলে নেই না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমলে নেওয়া যায় না। এমনটি কেন হয়? মন আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে নাকি আমরা মনকে নিয়ন্ত্রণ করি? আমরা হৃদয়ের চাওয়াটাকে সবসময় প্রাধান্য দিতে পারি না। হৃদয়ের চাওয়া বাস্তবায়ন করতে না পারার পেছনে অনেকগুলো কারণ কাজ করে। কোথাও কোথাও সামাজিক রীতি-নীতি, প্রচলিত নিময়, শিষ্টাচার, ধর্মীয় বিধিবিধান, প্রতিষ্ঠিত ও প্রচলিত ধারণা মনের সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা দ্ব›েদ্ব পড়ে যাই। আমার কোন দিকে যাওয়া উচিত? আমি আমার মনের পক্ষে দাঁড়াবো? না সমাজ ও প্রচলিত বাস্তবতার পক্ষে? কখনো মনে হতে পারে সমাজ, ধর্ম ও প্রচলিত বিধিবিধানÑসব একজোট হয়ে আমার বিরুদ্ধে লড়ছে। এগুলো নিয়ে বিষদ করে চিন্তা করার অবকাশ রয়েছে। এখানে, আজ আমরা হয়তো কোনো প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজে পাবো না। আবার হয়তো অনেক উত্তর পেলে পেতেও পারি। উত্তর খুঁজে বের করে সকলের সামনে পরিবেশন করা বা উত্তরগুলোকে কৌশলে লুকিয়ে রাখা আজকের এই উন্নয়নশীল মন শীর্ষক বক্তৃতার উদ্দেশ্য নয়। তারচেয়ে বরং সে-ই ভালো যদি আমরা আমাদের মনে কিছু নতুন প্রশ্নের জন্ম দিতে পারি। সব প্রশ্নের মীমাংসা হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। সারাটাজীবন ধরেও যদি কিছু প্রশ্ন আমাদের কাছে অমীমাংসিত থেকেও যায়, তাতেও হয়তো ক্ষতি নেই।

উন্নয়নশীল মন ও রুদ্ধ মন
তাত্তিক ব্যাখ্যা ছাড়াও আমরা বলতে পারি, যে মন সময় ও প্রগতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে সেটি উন্নয়নশীল মন। যে মন একটি বিশেষ গন্ডিতে বন্দি তাকে আমরা বলি রুদ্ধ মন। আপনারা ইংরেজিতে যাকে গ্রোথ মাইন্ডসেট (Growth Mindset) ও ফিক্সড মাইন্ডসেট (Fixed Mindset) বলে সম্বোধন করে থাকেন।


আপনার-আমার মন কোন ভাগে? বুঝবো কি করে? ভালোমন্দ যা-ই ঘটুক দিনশেষে আপনি যদি অন্যের কথা, কাজ ও মতামতকে কোনোভাবেই গ্রহণ করতে না পারেন তবে আপনার মনটি এখনও রুদ্ধ হৃদয়ের দলে। আর আপনি যদি নৈর্ব্যক্তিক একটি অবস্থান থেকে নিজেকে দেখতে পারেন, নিজের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি অন্যের মতামতকেও মূল্য দিতে পারেন, ভেবে দেখেন, প্রয়োজন অনুসারে গ্রহণ ও বর্জন করতে জানেন তবে আপনার মনটিই উন্নয়নশীল মন।


আপনার যারা আজ মন নিয়ে সভা-সেমিনার করছেন, নিঃসন্দেহে এটি দামি কাজ। এই মহতী কাজগুলোতে যুক্ত হওয়ার কিছু পূর্বশর্ত থাকে, তা হলো নিজেদের সুন্দর-সমৃদ্ধ অতীত সম্পর্কে জানা। অর্থাৎ আমরা যে ভূখন্ডে বড় হয়েছে ভারতবর্ষ বা এশিয়া সম্পর্কে। নিজেদেরকে ঝালাই করে নেওয়া। তাহলে ধারণ করতে সুবিধা হয়। ভারতবর্ষের দার্শনিক সংঘে উপস্থিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একবার সভাপতির ভাষণ দিয়েছিলেন। তিনি সেখানে বলছেন : ‘লোকশিক্ষার যে আশ্চর্য প্রণালী বহুকাল ধরে চলে আসছে তা সমস্ত বিকাশের মূল; কিন্তু তা আজ ধ্বংসোন্মুখ। আমাদের প্রাক্তন বিদ্যায়তনগুলোতে দলে দলে ছাত্ররা নানা দেশ থেকে এসে প্রসিদ্ধ অধ্যাপক ও আর্যগণের চারিদিকে সমবেত হতো। সেই শিক্ষাসূত্রগুলো গভীর ও স্থিরসলিল হ্রদের মত; সেখানে আসতে হলে দুর্গম পথ অতিবাহন করতে হয়। কিন্তু সেইসব জলাশয় হতে প্রতিনিয়ত বাষ্পোদগম হয়ে যে সব মেঘ জন্মাত, তা বায়ুভরে কত প্রান্তরে পর্বত উপত্যাকার উপর দিয়ে সমগ্র দেশে পরিব্যাপ্ত হত।


আমাদের জানা প্রয়োজন কেন আমরা পড়াশোনা করছি? কেন বিশ^বিদ্যালয়ে এসেছি? কেন বিশ্বিবদ্যালয় প্রয়োজন, এইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে থেকে, কীভাবে শুরু হলো? আমরা যা পড়ছি, যেভাবে পড়ছি, যা করছি সব ঠিকঠাক আছে তো? নাকি শ্রম, সময় ও অর্থের অপচয়! দ্রত হিসাব করা জরুরি। চলুন, আমরা আমাদের সময়, শ্রম ও অর্থকে অর্থপূর্ণ করি। রবীন্দ্রনাথ অন্যত্র বলছেন, ‘সুশিক্ষার লক্ষণ হলো এই যে, তা মানুষকে অভিভূত করে না, মানুষকে মুক্তিদান করে।’ আহমদ ছফা লিখেছেন বাঙালি মুসলমানের মন নিয়ে। আমরা পড়ে দেখতে পারি। জাতিগতভাবে আমাদের বেড়ে ওঠা নিয়ে সুন্দর ও যুক্তিপূর্ণ আলাপের সন্ধান পাবেন।


ফিক্স মাইন্ডসেট সবসময় ফিক্সড নয়
তবে হাল আমলের চল হলো, চোখ মুখ বন্ধ করে ফিক্সড মাইন্ডসেটকে বকাঝকা করা। একটি কথা মনে রাখা কর্তব্য যাকে আমরা ফিক্সড মাইন্ডসেট বলে চিহ্নিত করি সেটি আসলে সবসময় খারাপ মাইন্ডসেট নয়। কোথাও কোথাও ফিক্সড থাকা জরুরি।


স্বপ্ন বেঁচো না
বিখ্যাত বাঙালি গায়েন প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গানের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। আলু বেচো, ছোলা বেচো, বেচো মটরদানা, বন্ধু তোমার লাল টুকটুলে স্বপ্ন বেচো না। পূর্বেই বলা হয়েছে ফিক্সড মাইন্ডসেট সবসময় খারাপ না। দেখুন, আপনি যদি আপনার চিন্তা ও বুদ্ধিবৃত্তির উপরে অটল থাকেন, যদি বলতে পারেন, আমি আমার স্বপ্ন বিক্রি করবো না। আপনি যদি আপনার স্বপ্নের পরিচর্যা করেন, তাহলে আপনাকে রুখতে পারে এমন সাধ্য কার আছে! এখানে আপনি নিজের স্বপ্নে ফিক্সড থাকুন! যদি বলতে পারেন, আমি কর্পোরেটের দাস হবো না। আমার চিন্তা, ভাবনা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞাকে আমি যেনতেনভাবে কর্পোরেট পুঁজির পাহাড় গড়ার কাজে খরচ করতে পারি না। আপনি যদি এমন একটি মাইন্ডসেট তৈরি করতে পারেন, তখন লোকে যদি তাকে ফিক্সড মাইন্ডসেট বলে গালিও দেয়, তখন অনেককেই পাবেন সেই ফিক্সড মাইন্ডসেটের দলে। যে মন উদারনৈতিক চিন্তা করতে পারে, যে মন এক লহমায় ঘুরে আসতে পারে উদারগৈরিক মাঠÑকে তাকে তুচ্ছ করে? কে তাকে সংকীর্ণ বলে গালি দেয়? কবি কাজী নজরুলের মত করে তখন বলতে হবে, ‘কুপমন্ডুপ অসংযমীর আখ্যা দিয়াছো যারে, তারি তরে ভাই, গান রচে যাই, বন্দনা করি তারে।


আজ থেকে ছয়-সাত বছর আগে ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকায় একটি ফিচার পড়েছিলাম। বাবা দিবসে এক কন্যা তাঁর বাবাকে নিয়ে লিখেছিলেন ফিচারটি। লেখকের নাম বা লেখার শিরোনাম মনে করতে না পারলেও সেই লেখার একটি বক্তব্য আমার স্মৃতিতে আজো জ¦লজ¦লে হয়ে রয়েছে। লেখকের বয়ানটি অনেকটা এমন, ‘আমার বাবা একজন এক্সট্রাঅরডিনারি মানুষ ছিলেন, কিন্তু তিনি তাঁর জীবনের এক্সট্রাটুকু বিক্রি করে দিয়েছিলেন অরডিনারি বিষয়াদি ম্যানেজ করতে।’ এই যেমন মনে করুন, চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ কিনতে। জীবন অনেক দামি বিষয়। আপনি এই জীবনটি পেয়েছেন, আপনি অনেক ভাগ্যবান। লালন ফকিরের গানে আছে, লক্ষ জনম ঘুরে ঘুরে পেয়েছি এই মানব জনম। আবার বলছেন, দেবদেবতাগণ করে আরাধন জন্ম নিতে মানবে..। নিজেকে মূল্য দিন, কে আপনাকে মূল্য দিলো বা দিলো না, তা অতবেশি আমলে নিবেন না। কারো পাত্তা দেওয়া বা না দেওয়ায় জীবনের তেমন লাভক্ষতি নেই। যেহেতু জীবন একটি বড় বিষয়, অতএব জীবনকে যেনতেনভাবে খরচ করে ফেলা ঠিক হবে না।

ভালো কাজের অভ্যাস করুন, নেশা করবেন না
ভালো কাজের অভ্যাস করুন। কোনোকিছুর নেশা করবেন না। সেটি হতে পারে সিগারেটের নেশা, মাদকের নেশা বা মোবাইল-ইন্টারনেটে দিনরাত পড়ে থাকার নেশা। পারলে প্রতিদিন রাত ১০টার মধ্যে ঘুমোতে যান। সূর্য ওঠার আগে আপনি উঠুন। খালিপেটে এক গ্লাস জল পান করুন। বিশ্বাসী হলে নিঞ্ঝাট মনে প্রার্থনা করুন। প্রতিদিন কয়েক কিলোমিটার হাটুন। অন্তত একবেলা শাকসবজি খেতে পারেন। সামর্থ থাকুক বা না-ই থাকুক রোজ মাংস খাবেন না। প্রতিদিন অন্তত তিন ঘন্টা অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা করুন। রোজ অন্তত একঘন্টা সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, দর্শন, স্পোর্টস নিয়ে পড়ালেখা করুন। নিয়মিত সংবাদপত্র, দুয়েকটি কবিতা, গল্প ও জীবনী পড়ুন। ভালোবাসার মানুষের কাছে কাছে থাকুন। অনাথের প্রতি সদয় ও সুন্দর আচরণ করুন। যারা আপনাকে ভালোবাসে তাদেরকে মূল্য দিতে অভ্যস্ত হোন। সুন্দর সুন্দর অভ্যাস গড়ে তুলুন প্রতিদিন। সমাজে প্রচলিত সুন্দর চর্চাগুলোকে ভাঙবেন না বরং সুরক্ষা দিন। সম্ভব হলে দূরে কোথাও বেড়িয়ে আসুন, দেশ থেকে দেশান্তরে, বহুদূরে।


আপনারা অনেকে বিখ্যাত নাট্যকার নরওয়ের হেনরিক ইবসেনকে চিনবেন। কত বড় সাহিত্যিক তিনি। কত বিশাল বিশাল প্লটের চিন্তা তিনি মগজে ধারণ করেছেন কিন্তু তাঁর জীবন নাটকের হিসাব তিনি মেলাতে পারেননি। সমালোচকদের ভাষায় জীবন সম্পর্কে বেহিসেবি ছিলেন ইবসেন। জীবনকে অযথা জটিল করবেন না, জীবনকে সহজ করুন। সিগমন্ড ফ্রয়েড বলছেন, সত্তর বছর বয়স আমাকে শিখিয়েছে জীবনকে প্রসন্ন বিনয়ের সঙ্গে গ্রহণ করতে। জটিলতা নিয়ে তাঁর বক্তব্য হলো, আমাদের জটিলতা আমাদের দুর্বলতার উৎস। জনপ্রিয় বাঙালি লেখক হুমায়ুন আহমেদ বলছেন, জীবনে এমন কোনো কাজ নেই যা করলে জীবন ব্যর্থ হয়। জীবন এতই বড় ব্যাপার যে একে ব্যর্থ করা খুবই কঠিন।


এবার সিদ্ধান্ত আপনার জীবনকে, আপনার মনকে কীভাবে মোকাবেলা করবেন? সহজ না কঠিনভাবে?
শুভেচ্ছা জানবেন।

লেখক : মুহাম্মদ সাজিদুল ইসলাম, শিক্ষক, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রচার সম্পাদক, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।