কম্পিউটার সায়েন্স পড়ার মধ্য দিয়ে একজন মানুষ প্রযুক্তিগত এবং অ-প্রযুক্তিগতভাবে বিশেষ কিছু দক্ষতা অর্জন করে যার বাপ্তি চাকুরী করা থেকে নেতৃত্ব দেয়া পর্যন্ত। কম্পিউটার প্রযুক্তি বর্তমান জীবনের অবিছেদা একটি অংশ কাজেই যে কেউ তার কম্পিউটার সায়েন্সের দক্ষতার মাধ্যমে অনায়াসেই জায়গা করে নিতে পারে যেকোন ইন্ডাস্ট্রিতে। যা হতে পারে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কনসালটেন্সি ফার্ম, সফটওয়্যার ফার্ম, ডেটা ওয়্যারহাউস, মাল্টিন্যাশনাল প্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, এবং হসপিটাল।

আইটি কন্সালটেন্ট

একজন আইটি কন্সাল্টেন্ট মূলত তার ক্লায়েন্টকে বিভিন্ন আইটি সিস্টেমের পরিকল্পনা, নকশা, ইন্সটলেশন এবং তাদের ব্যবহারবিধি নিয়ে উপদেশ প্রদান করেন যার মাধ্যমে ক্লায়েন্ট তাদের আইটি কাঠামো আরও উন্নত করতে পারে। প্রযুক্তিগত উপদেশের পাশাপাশি একজন আইটি কন্সাল্টেন্ট বিজনেস ডের পমেন্ট এবং সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট চিহ্নিতকরনের বাপারেও সমান পারদর্শী

সাইবার সিকিউরিটি কন্সালটেন্ট

বর্তমান সময়ে সাইবার সিকিউরিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। একজন সাইবার সিকিউরিটি কন্সাল্টেন্ট হিসেবে তার গুরু দায়িত্ব হচ্ছে ডেটা এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের নিরাপত্তা প্রদান। এক্ষেত্রে একজন সাইবার সিকিউরিটি কন্সাল্টেন্টকে খুঁজে বের করতে হয় কোথায় নিরাপত্তা লঙ্ঘন হচ্ছে অথবা হতে পারে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা। এক্ষেত্রে মূলত একজন ব্যক্তি সাইবার ক্রাইমকে প্রতিহত করার জন্য কম্পিউটার ফরেন্সিক এনালিস্ট হিসেবেও কাজ করেন।

ডেটাবেস এডমিনিস্ট্রেটর

একজন ডেটাবেইস এডমিনিস্ট্রেটর মূলত একটি কম্পিউটারাইজড ডেটাবেসের ব্যবহার, ডেভলপমেন্ট, অখন্ডতা, এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব বহন করেন। সাধারনত একজন ডেটাবেস এডমিনিস্ট্রেটরের মূল দায়িত্বগুলো হয়ে থাকে: ডাটা কন্সিস্টেন্সি নিশ্চিতকরন, ডেটার পরিষ্কার সংজ্ঞায়িতকরন, ডেটার সহজ এক্সেস, ডেটার নিরাপত্তা এবং জরুরী অবস্থায় ডেটার পুনরুদ্ধার।

নেটওয়ার্ক এডমিনিস্ট্রেটর

একজন নেটওয়ার্ক এডমিনিস্ট্রেটরের মূল দায়িত্ব লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক থেকে শুরু করে। ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করা এবং তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করা। প্রতিষ্ঠানভেদে দায়িত্বর তারতম্য থাকলেও নতুন হার্ডওয়্যার ইন্সটলেশন, সার্ভার রক্ষণাবেক্ষণ, পন্যের লাইসেন্স নবায়ন এবং নেটওয়ার্ক ইন্টিগ্রিটির কাজগুলো প্রত্যেক নেটওয়ার্ক এডমিনিস্ট্রেটরই করতে হয়।

মাল্টিমিডিয়া প্রোগ্রামার

একজন মাল্টিমিডিয়া প্রোগ্রামার মূলত মাল্টিমিডিয়া ভিত্তিক বিভিন্ন কম্পিউটারাইজড পণ্য ডিজাইন এবং তৈরি করে থাকেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন মাল্টিমিডিয়াভিত্তিক ফিচার যেমন টেক্সট, সাউন্ড, গ্রাফিক্স, ডিজিটাল ফটোগ্রাফি, 2D/3D মডেলিং, এনিমেশন এবং ভিডিও এর ব্যপারে ক্রিয়েটিভিটি এবং টেকনিকাল ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ন।

সিস্টেম এনালিস্ট

একজন সিস্টেম এনালিস্ট কম্পিউটার এবং এর সহায়ক সিস্টেমের মাধ্যমে নতুন আইটি সলুশন ডিজাইনের পাশাপাশি নতুন ফিচার সংযোজনের মাধ্যমে চলতি সিস্টেমের পরিবর্তন এবং উন্নতিকরনের কাজ করেন যার মাধ্যমে বিজনেসের দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

গেমস ডেভেলপার

গেমস ডেভেলপাররা পারসোনাল কম্পিউটার, গেমিং কনসোল, অনলাইন গেম, মোবাইল গেম এবং অন্যান্য ডিভাইসের জন্য গেম ডেভেলপ করে থাকেন। এক্ষেত্রে নিজস্ব ক্রিয়েটিভ মাইসডের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রোগামিং ল্যাঙ্গুএজের দক্ষতা সমান গুরুত্বপূর্ন।

টেকনিক্যাল রাইটার

বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে পন্যের বিবরণ এবং নির্দেশিকা তৈরি করার কাজগুলো করে থাকেন একজন রাইটার । মূলত পন্যের ব্যবহারকে সাধারণ মানুষের কাছে আরও সহজ করার জন্য প্রয়োজন পরে এসব নির্দেশিকার। কম্পিউটার সায়েন্স পড়ার সময় আমারা যে টেকনিকাল নলেজ অর্জন করি সেগুলো একজন টেকনিক্যাল রাইটার হওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন।

লেখকঃ মোঃ আজিজুল হাকিম, লেকচারার (সিনিয়র স্কেল) ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি